সাপ vs মানুষ


সাপ দেখলে অনেকেরই পিলে চমকে উঠে। আর কেউ কেউ তো- সাপ, এ শব্দটি শুনলেই আতঙ্কে হাত-পা ঝাড়তে শুরু করেন।কারো তো "ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি" অবস্থা হয়ে যায়।😭😭😭 চোখের সামনে সাপ দেখলে, তাদের কী অবস্থা হবে-থাক, তা না ভাবাই ভালো। তবে উল্টো চিত্রও যে হতে পারে, তা আমরা কখনো ভাবি না। অর্থাৎ পৃথিবীতে এমন স্থানও আছে,যেখানে মানুষ শব্দ শুনলে সাপেরই পিলে চমকে ওঠে।😲😲 অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।আর সেই স্থান অর্থাৎ দেশের নাম হলো ইন্দোনেশিয়া।উপরের ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে, সাপের কাছে মানুষও কিন্তু কম ভয়ের নয়! যারা 'সাপ-আতঙ্কে' ভুগেন তারা বাকিটা আর পড়তে যাবেন না।

কসাইখানা
পশ্চিম জাভার একটি সাপ মারার কারখানায় কর্মীরা সাপগুলোকে পরিষ্কার করছেন। সাপের মাংস শুকিয়ে, পরে চীন আর তাইওয়ানে রফতানি করা হয়, যেখানে সাপের মাংস খাবার এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

গ্ল্যামারের জন্য
পশ্চিমে সাপের চামড়াকে গ্ল্যামারাস মনে করা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক
ইন্দোনেশিয়া সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সাপের চামড়া রফতানি করে থাকে। বলা হয়, এসব সাপ ‘মানবিকভাবে’ পোষা হয়ে থাকে, কিন্তু বাস্তব বোধহয় কিছুটা আলাদা।

চাহিদা
দুনিয়া জুড়ে সাপের চামড়ার চাহিদা দেখে ইন্দোনেশিয়ায় সর্পশিকারীরা স্বভাবতই আরো উৎসাহ পেয়েছে।

সাপ থেকে চামড়া হওয়ার পথে
খোলা সাপের চামড়াগুলো পরিষ্কার করার পর গোল করে শুকাতে দেয়া হয়।

শুকানো
সাপের চামড়া প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে রোদে শুকানো হয়। তবে চুল্লিতেও শুকানো যেতে পারে।

নকশা
বড় সাপের চামড়া লোহার রড ঢুকিয়ে সিধে, অর্থাৎ সোজা করা হয় যাতে তার নকশাটা ঠিকমতো দেখা যায়।

মহার্ঘ
রোদে চামড়া শুকানো হয়। পশ্চিমে এর দাম অনেক বেশি, কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা তার বিশেষ ভাগ পান না।😞😞😞

অপর প্রান্তে
পাইথনের চামড়ার এই সাইকেলের স্যাডল কভারটির দাম কত জানেন? দুই হাজার ইউরো।😲😲
প্রদর্শিত হচ্ছে জার্মানির কোলন শহরের একটি শিল্পমেলায়।

No comments

Powered by Blogger.